বায়েজিদ বোস্তামীর ৫টি কবিতা
ঘোড়ারে আমার নিশিতে পায়
নগরীর চারিদিকে পরিখা নাই
দেওয়ালের সুরক্ষা দিতে
ফটক ভেঙে শত্রু ঢোকে না কোনও
আমিই শত্রু তাঁবুর দিকে ছুটে যাই
বেকুব ঘোড়ারে আমার নিশিতে পায়
এমনকি দিনেদুপুরেও
ওহে, বেকুব ঘোড়াটি আমার
নগর দেওয়ালের ওপারে
কী আছে এমন?
কী আছে শত্রু তাঁবুতে?
কী সুস্বাদু ঘাস-ছোলা-নুন?
আমি যে মরি না তাই
আমার মরে যাওয়া দরকার
অথচ মরিবার মুরোদটি নাই
এহেন দশায়, আমারে, বুচ্ছেন
বিবিধ মশকারি নিয়া বেঁচে থাকা লাগে
জীবনে ঘটে যাওয়া, ঘটমান ও ঘটিতব্য-
কান্না মশকারি
কাম মশকারি
প্রেম মশকারি
আমি যে মরি না তাই
এই মশকারি সমগ্র নিয়ে বেঁচে থাকা লাগে
নীরবতা
ধরা যাক
জনপ্রাণীহীন
ধরা মাঝে
আমরা
শেষতম
দু’টি জিরাফ
নীরবতার
হিরন্ময়
ভাষায়
কথা
ক’য়ে
যাচ্ছি
ননস্টপ
গণিত বিষয়ক
নাড়িটি কাটিবার পর আমি যোগ করিয়া চলেছি
একের সাথে আর এক
প্রাণের সাথে প্রাণ
প্রেমের সাথে প্রেম
আত্মার সাথে আত্মা
আনন্দের সাথে আনন্দ
খেলার সাথে খেলা
লীলার সাথে লীলা
এইরূপে যোগে যোগে যোগাযোগ বাড়াইতেছি
অথচ
গণিতের নামে তোমরা আমারে শিখাইতে চাও
বিয়োগ তথা বাদ
গুণ তথা লাফ
ভাগ তথা বিভাজন
এই প্রকার বিবিধ জটিল হিশাব-নিকাশ
তোমাদিগের এহেন গণিতের খাতা ছুঁড়ে দিয়ে
আমি সবথাকি সুখী সন্তানটি মাতা ধরিত্রীর
মাপামাপি
তোমার শূন্যতার ভারে ঝুঁকে পড়ছে
ক্রমশ দাঁড়ির ডানদিক
ভরহীন বাটখারার মতোন প্রার্থনারত
ঊর্ধ্বমুখী আমি, বাঁদিকে
ঠিকঠাক মেপে নেওয়া যাচ্ছে না
কিছুতেই, আমাদের, এ-বাজারে